কওমি মাদ্রাসা হল উপমহাদেশের ইসলাম ধর্ম শেখার জন্য প্রচলিত মাদ্রাসা। ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের মধ্যে ইসলামের শিক্ষা ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষে নিয়োজিত কওমি মাদ্রাসা। আজকে আমরা কবে মাদ্রাসা বিভিন্ন দিক সম্পর্কে জানব। যেমন আমরা আজকে জানবো কওমি মাদ্রাসা কি ও কেন? আমরা আরও জানবো কি করে পাঠশালা সফটওয়্যার কওমি মাদ্রাসার কাজে সাহায্য করতে পারে।

কওমি মাদ্রাসা কি ও কেন?

দুটি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত এ নাম বড় ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারক বাহক হয়ে আসছে বিগত শতাব্দী যাবৎ ডালিম গাছের ছায়ায় শুরু হওয়া উপমহাদেশের ইলমী নববীর এ ধারা আজ বড় বড় অট্টালিকা ও বাস ভবনের মায়ায় ছড়িয়ে পড়ছে এশিয়ার পূর্ব থেকে পশ্চিম দিগন্তে
ইলমে দ্বীন অর্জনের এক নতুন যুগকে আলিঙ্গন করেছে মুসলিম জাতি ও সমাজ । বিজাতীয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিকে চ্যালেন্জের মুখে ফেলে ধর্মনিরপেক্ষতা ও নাস্তিক্যবাদকে ” ইনহুয়া ইল্লা ওয়াহ উই ইউহা ” এর শ্বাসত বাণীর চপেটাঘাতে ধরাশায়ী করে তুলেছে ইসলামী এ নববী শিক্ষা
“” সুতরাং বলুন : সত্য এসেছে মিথ্যা হেরে গেছে। আর মিথ্যে তো হেরে যাওয়ারই । “”
( সূরা বনী ইসরাইল : ৮১ )

পৃথিবী সৃষ্টির সূচনা লগ্নে ফেরেশতাকুলের সামনে আদম এর জবানে নাম সমূহের মুখনিঃসৃত বিবরণ নূহ আঃ এর সাড়ে নয়শত বছর অবিরাম লা ইলাহার দাওয়াত ইব্রাহিম আঃ এর ইমানী তেজদীপ্ত আহ্বান ইউসুফ আঃ এর কারাগারে স্বপ্নের ব্যাখ্যাদান ও মিশরের দুর্ভিক্ষের অতুলনীয় সমাধান মূসা আঃ এর তূর পাহাড়ের চল্লিশ রাত জালুতের বাহিনীর বিরুদ্ধে স্বজাতীর উপর তালুতের শ্রেষ্ঠত্ব ও হিকমাত ভাতৃদ্বয়ের বিবাদ নিরসনে দাউদ আঃ এর ইনসাফ ও সুলাইমান আঃ এর হাতে পশ্চিম থেকে পূর্বের রাজত্ব ঈসা রুহুল্লার শৈশবভরা মুখে আপন রবের প্রশংসা ও কৃতিত্ব সর্ব শেষ মুহাম্মদে আরাবী সাঃ এর সাওর পর্বতে দাঁড়িয়ে লা শারীক খোদার দাসত্বের আহ্বান , সাহাবায়ে কেরামের মুখে ক্বলাল্লাহু ও ক্বলার রাসূলের মুখরিত যিকির তাবেয়ীনদের ফিকহ ও ফিকির পরবর্তীতে যুগ যুগ ধরে কোরআন ও হাদিসের এ স্বভাবজাত সংরক্ষণের বৈশিষ্ট্য ও অবদান অতএব এ মহান ইলমের যেখানে নিরাপত্তা।
যেখানে সংরক্ষণ হয়ে আসছে সিনা থেকে সিনায় তাঁকেই বলা হয় আমাদের সাদামাটা ভাষায় কওমী মাদ্রাসা ।

ইসলাম প্রচার করা

ইসলাম প্রচার করা কওমি মাদরাসার মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। ইসলাম সম্পর্কে সমাজের মানুষকে সহজে জানতে সাহায্য করা কওমি মাদরাসার অন্যতম কাজ।

আলেম-উলামা তৈরি করা

কওমি মাদ্রাসার মাধ্যমে অনেক আলেম ওলামা এবং কুরআনের হাফেজ তৈরি হয়।  এসব আলেম-উলামা এবং কোরআনের হাফেজ দ্বীনের খেদমতে নিয়োজিত থাকে।

দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে শিক্ষার বিস্তার

কওমি মাদ্রাসার মাদ্রাসার একটি বিশেষ দিক হলো এটি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে বিশেষ ভাবে কাজ করে। প্রতিবছর কওমি মাদ্রাসা তে অনেক লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থীর অধ্যায়ন করে থাকে যারা অত্যন্ত দরিদ্র পরিবার থেকে আসে।

অনেকের বাবা-মার কওমি মাদ্রাসার ভর্তি হবার মত বা বেতন দেওয়ার মত টাকা থাকেনা। এসব শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতে পারে মাদ্রাসায় যাকাত ও সাদাকা সহ বিভিন্ন খাত থেকে প্রাপ্ত অর্থ থেকে। এসব শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার জন্য অনেকেই দান সদকা করে থাকেন। এসব দান সদকা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পেছনে ব্যয় হয়।

দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে পড়াশোনার বিস্তারে কওমি মাদ্রাসা ভূমিকা অনস্বীকার্য।

মাসলা মাসায়েলের সমাধান দেওয়া

মুসলমানদের দৈনন্দিন জীবনযাপনের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। একজন মুসলমানের বিবাহ, ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকরি ইসলামের বিধান মেনে চলা আবশ্যক।

কিন্তু এ সংক্রান্ত অনেক সমস্যায় কোরআন-হাদিসের সরাসরি লেখা থাকেনা। কুরআন-হাদিসে মূলনীতি উল্লেখ করা থাকে যার মাধ্যমে আলেমরা সমস্যার সমাধান করে থাকেন। কিন্তু সাধারণ মানুষের জন্য এই সকল সমস্যা কোরআন হাদিস পড়ে বের করা খুবই কঠিন কাজ।

আলেম-ওলামা দীর্ঘ সময় ধরে কোরআন হাদিস অধ্যায়ন করেন। কোরআন হাদীস অধ্যয়ন করার পর তারা বিভিন্ন রকম সমস্যার সমাধান কোরআন হাদিসের আলোকে দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেন। মাদরাসার শিক্ষা ব্যবস্থায় তাদেরকে বিভিন্ন রকম ডিগ্রী যেমন মুফতি উপাধি দেওয়া হয়।

এসব উপাধি প্রাপ্ত হবার পর তারা এসব সমস্যা সমাধান দেবার মতন যোগ্যতা আনুষ্ঠানিকভাবে অর্জন করেন। কওমি মাদ্রাসা এ সকল আলেম-ওলামা নিরলস ভাবে তৈরি করে চলেছে যার মাধ্যমে মুসলমানরা তাদের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন রকম সমস্যার সমাধান জেনে নিতে পারেন।

সুতরাং, মুসলমানদের দৈনন্দিন জীবনে সম্মুখীন হওয়া বিভিন্ন রকম মাসলা মাসায়েলের সমস্যা সমাধানে কবে মাদ্রাসা অসাধারণ ভূমিকা পালন করে চলেছে।

শিক্ষিত জনগোষ্ঠী গড়ে তোলা

বাংলাদেশের অনেক কওমি মাদ্রাসায় বর্তমানে মাদ্রাসার ইসলামী শিক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি আধুনিক বিষয় শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। যেমন বাংলা-ইংরেজি এগুলোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করছে।

বাংলা ইংরেজি এসব শিক্ষা দেওয়ার ফলে শিক্ষার্থীরা ইসলামী শিক্ষা অর্জন করার পাশাপাশি দুনিয়াবী জ্ঞান অর্জন করছে। এর পরে তারা চাকরি বা বিভিন্ন রকম ব্যবসা বাণিজ্য করতে পারছে এই জ্ঞানের সাহায্যে।

পাঠশালা সফটওয়্যার এবং কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা

পাঠশালা সফটওয়ারের মাধ্যমে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষাব্যবস্থায় যুগোপযোগী পরিবর্তন আনা যায়। এই সফটওয়ারের সাহায্যে ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্স, রেজাল্ট প্রকাশ, গ্রেড প্রদান, তথ্য সংরক্ষণ, ভর্তি ফি গ্রহণ এসব কাজ করা যায়।

এই সফটওয়্যার ব্যবহার করার ফলে কওমি মাদ্রাসার বিভিন্ন কাজগুলো খুবই দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করা যাবে। কওমি মাদ্রাসার এসব কাজের পিছনেই যেই সময় ব্যয় হতো সেই সময়গুলো তারা বাঁচাতে পারবে। কওমি মাদ্রাসার শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের প্রতি অধিকতর মনোযোগী হতে পারবে। রেজাল্ট প্রকাশ, উপস্থিতি গ্রগ্রহণ এসব কাজে সফটওয়ারের সাহায্যে খুব সহজে করা যাবে।

সফটওয়্যারটি ব্যবহার করার ফলে কওমি মাদ্রাসা অনেক খরচ বাঁচাতে পারবে। যেমন দাপ্তরিক বিভিন্ন রেকর্ড নথিপত্র সংরক্ষণ এর জন্য প্রয়োজনীয় কর্মচারীর সংখ্যা সফটওয়্যার ব্যবহার করা হলে সহজে কমিয়ে আনা যাবে। ফলে কওমি মাদ্রাসা কর্মচারীদের বেতন থেকে অনেক টাকা বাঁচাতে পারবে।

সফটওয়ারটি বিভিন্ন রকম হিসাব-নিকাশ খুব দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করতে পারবে এবং নির্ভুল ভাবে সম্পন্ন করবে। সর্বোপরি বলা যায় সফটওয়ারটি কওমি মাদ্রাসা আধুনিকায়নের ভূমিকা রাখবে।

সফটওয়্যার টি তৈরি করেছে পাঠশালা সফটওয়ারের একদল পরিশ্রমী, উদ্যমী সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার।  সফটওয়্যারটি এমন ভাবে তৈরি করেছে যেন কওমি মাদ্রাসা বা স্কুল কলেজের পাঠদান সম্পর্কিত কাজগুলো খুব সহজে সম্পন্ন করা যায়।

এই সফটওয়্যারটি আপনি নিতে চাইলে পাঠশালা সফটওয়্যার এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এমনকি সফটওয়্যার টি কিভাবে কাজ করে এটি জানার জন্য আপনি সফটওয়্যার টির ডেমো ফ্রিতে ট্রাই করতে পারেন।