কওমি মাদ্রাসা স্কুল বা কলেজের শিক্ষার্থী একটি পৃথক ধারার শিক্ষা ব্যবস্থা। এই শিক্ষা ব্যবস্থার মূল লক্ষ্য শিক্ষার্থীদের ইসলামী জ্ঞান অর্জনে সহায়তা করা। শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে আলেম-ওলামা, হাফেজ তৈরি করা। তাই কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ধরনের স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ধরনের থেকে আলাদা। পড়াশোনা ক্লাস এসব অনেক কিছুই কওমি মাদ্রাসায় আলাদা। আজকে আমরা কওমি মাদ্রাসার ক্লাসের নাম সমূহ সম্পর্কে জানবো। পাশাপাশি পাঠশালা সফট সম্পর্কে জানবো। এই পাঠশালা সফট কিভাবে কওমি মাদ্রাসা আধুনিকায়নের সহায়তা করতে পারে সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
Table of Contents
কওমি মাদ্রাসার ক্লাসের নাম সমূহ
হিফজ বিভাগ
কওমি মাদ্রাসার হিফজ বিভাগ হল কওমি মাদ্রাসার অন্যতম বিভাগ। মূলত ছোট বয়সের ছাত্র ছাত্রীদেরকে এই বিভাগে ভর্তি করা হয়। এই বিভাগের মূল উদ্দেশ্য ছাত্র বা ছাত্রী দেরকে কুরআনের হাফেজ হিসেবে তৈরি করা।
অনেক বাবা-মা তাদেরকে ছোট বয়সে স্কুলে পাঠানোর পাশাপাশি কওমি মাদ্রাসা বিভাগে পড়াশোনার জন্য পাঠান। হিফজ বিভাগে পাঠানোর জন্য তাদের উদ্দেশ্য থাকে মূলত তাদের সন্তানদেরকে কুরআনের হাফেজ হিসেবে তৈরি করা।
বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা গুলোর মধ্যে এই হিফজ বিভাগ সবচাইতে জনপ্রিয়। দেখা যায় যে অনেক ছোট ছোট মাদ্রাসা শুধুমাত্র এই বিভাগের জন্য খোলা থাকে। এখানে ছোট বয়সের শিক্ষার্থীরা কুরআনে হাফেজ হতে পারে বাংলাদেশ আনাচে-কানাচে বিভিন্ন ছোট ছোট মাদ্রাসা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।
মাওলানা উপাধি প্রদান
বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর আরেকটি উল্লেখযোগ্য কাজ হচ্ছে আরে মাওলানা উপাধি প্রদান। মাওলানা উপাধি পাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের কে দীর্ঘদিন পর্যন্ত পড়াশোনা করতে হয়। তাদেরকে কুরআন হাদিস এবং বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হয়। এসব জ্ঞান অর্জন করার পর তারা পরীক্ষা দেওয়ার পরেই মাওলানা উপাধি অর্জন করতে পারে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক কওমি মাদ্রাসার সার্টিফিকেট স্বীকৃতি প্রাপ্ত হয়েছে।
মুফতি উপাধি প্রদান
মাওলানা উপাধি অর্জন করার পরেই কওমি মাদ্রাসার অনেক শিক্ষার্থী উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করতে চায়। উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করার পর তারা বিভিন্ন মাসলা-মাসায়েল প্রদানের যোগ্যতা অর্জন করে।
মুসলমানদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এইসব ক্ষেত্রে ইসলামের বিধি-বিধান কি হবে তা জানার জন্য তাদেরকে এরা মুফতি শরণাপন্ন হতে হয়। মাদ্রাসা থেকে পাশ করে মুফতিরা কোরআন ও হাদিসের আলোকে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দিয়ে থাকেন।
মুফাসসিরে কুরআন
কওমি মাদ্রাসা থেকে অন্যতম যে ডিগ্রি দেওয়া হয় তা হচ্ছে মুফাসসিরে কুরআন এর ডিগ্রি। মুফাসসিরে কোরআন এর ডিগ্রী যারা অর্জন করে তারা কুরআনের তাফসীর সম্পর্কে জ্ঞান রাখে। কোরআনের বিভিন্ন আয়াতের তরজমা, এর প্রয়ো্ শানে নুযুল ইত্যাদি সম্পর্কে তারা বিস্তারিত অধ্যায়ন করে থাকে।
বিভিন্ন তাফসীরগ্রন্থ তারা অধ্যায়ন করে থাকে। তারপর পরীক্ষা দেওয়ার পর তারা মুফাসসিরে কোরআন উপাধি পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে।
মুহাদ্দিস
মুহাদ্দিসগণ হাদিস সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ হয়ে থাকেন। তারা বিভিন্ন হাদিস এর মান যাচাই, হাদিসের প্রয়োগ, হাদিসের নাসেখ-মানসুখ এসব বিষয়ে অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন।
হাদিসের বিভিন্ন প্রাচীন কিতাবাদি তাদেরকে উদাহরণ করতে হয়। তারপর পরীক্ষা দেওয়ার পর তারা মুহাদ্দিস হওয়ার উপাধি অর্জন করেন।
পাঠশালা সফট এবং কওমি মাদ্রাসার কার্যক্রম
পাঠশালা সফট একটি সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সহজ করার জন্য পাঠশালা সফট বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার নির্মাণ করেছে। এই সফটওয়্যার এর সাহায্যে যে যে কাজ করা যায় তা নিচে আলোচনা করা হলঃ
ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্স রেকর্ড
এই সফটওয়ারের সাহায্যে ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্স রেকর্ড করা যাবে। ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্স রেকর্ড করার ফলে শিক্ষকেরা ক্লাসে অধিকতর মনোযোগ দিতে পারবে এবং সময় নষ্ট কম হবে।
গ্রেড প্রদান
এই সফটওয়ারের সাহায্যে গ্রেড প্রদান করা যাবে। গ্রেড প্রদান এই সফটওয়ারের সাহায্যে করা যাবে এর ফলে অনেক সময় বাচবে। পাশাপাশি তা নির্ভুলভাবে গ্রেড প্রদান করতে পারবে।
রেজাল্ট পাবলিশ
রেজাল্ট পাবলিশ করার মতন জটিল কাজ এই সফটওয়ারে করতে পারবে। পাশাপাশি তা মেধাক্রম নির্ধারণ করে দিতে পারবে। ফলে রেজাল্ট পাবলিশ করার জন্য শিক্ষকদের যে সময় ব্যয় হতো সেই সময় থেকে তারা সময় বাঁচাতে পারবে।
অনলাইনে ভর্তি
অনেক সময় দেখা যায় শিক্ষার্থীরা অনেক দূরে থেকে মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। বিশেষ করে আবাসিক ছাত্র দের বাড়ি অনেকেরই মাদ্রাসা থেকে অনেক দূরে।
শুধু ভর্তি হবার জন্য অনেক সময় তাদেরকে দূর-দূরান্ত থেকে আসতে হয়। অনলাইনে ভর্তি এই কাজটি খুব সহজে করতে পারে তারা বাসায় বসে থেকেই এই সফটওয়্যারটি এর সাহায্যে। সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে খুব সহজেই অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যাবে
বেতন গ্রহণ
অনলাইনে বেতন গ্রহণ করা যাবে সফটওয়ারের সাহায্যে। অনলাইনে বেতন গ্রহণের পাশাপাশি এর রেকর্ড সংরক্ষণ এই সফটওয়ারের সাহায্যে সহজেই করা যাবে।
ফলে বেতন প্রদান করার জন্য ব্যাংকে লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হবে না। ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা বেতন প্রদানের যে ঝামেলা এগুলো থেকেও মুক্তি পাবে। পাশাপাশি বেতন দ্রুততার সাথে প্রদান করা যাবে।
তথ্য নথিভুক্তকরণ
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের তথ্য, কওমি মাদ্রাসার বার্ষিক আয় ব্যয়, যাকাত ফান্ড এসব তথ্য নথিভুক্ত করে রাখা খুবই প্রয়োজন। এসব তথ্য নথিভুক্তকরণ জন্য অনেক লম্বা লম্বা রেজিস্টার খাতার প্রয়োজন হয়। কিন্তু এই নিয়মে তথ্য সংরক্ষণ করে রাখা খুবই সময় সাপেক্ষ একটি কাজ।
পাশাপাশি কোন তথ্য সংযোজন বা বিয়োজনের প্রয়োজন হলেও তা খুবই জটিল এই প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণ করা। এবং কোনো রেকর্ড বা রেজিস্টার খাতা যদি হারিয়ে যায় তবে সেই তথ্য উদ্ধার করা খুবই দুরূহ কাজ।
কিন্তু এই সফটওয়ারের সাহায্যে তথ্য নথিভুক্ত করার মত জটিল কাজ খুব সহজে করা যাবে। শুধু তাই না এই সফটওয়্যার তথ্যগুলোকে নিরাপদ জায়গায় সংরক্ষণ করে রাখবে। হ্যাক করে বা অন্য কোনোভাবে তথ্যগুলো নষ্ট করা সম্ভব নয়।
তথ্যগুলো থেকে চাইলে সহজেই কোন তথ্য সংযোজন ও বিয়োজন করা যাবে। পাশাপাশি এই তথ্যগুলো সংরক্ষণ করে রাখার জন্য আলাদা কোন জায়গাও লাগবে না। কম্পিউটারের বেসিক নলেজ আছে এমন যে কেউ সহজে এখানে তথ্যগুলো ইনপুট দিতে পারবে।
সুতরাং নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে এই পাঠশালা সফট কওমি মাদ্রাসার আধুনিকায়নে অনন্য ভূমিকা রাখতে পারে। কওমি মাদ্রাসার বিভিন্ন কাজে সাহায্য সহায়তা করতে পারে। পাশাপাশি কওমি মাদ্রাসার খরচে অনেকাংশে কমিয়ে আনতে পারে। আর এটি ব্যবহার করাও খুব সহজ। কম্পিউটারের বেসিক নলেজ থাকলেই সফটওয়্যার টি সহজে চালনা করা যাবে।
সুতরাং কওমি মাদ্রাসার জন্য বিশেষভাবে ব্যবহারের উপযোগী আপনি যদি এই সফটওয়্যারটি ব্যাবহার করতে আগ্রহী হন তবে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। সফটওয়ারটি কিভাবে কাজ করে তার সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হলে সফটওয়্যারটির ফ্রী ডেমো ট্রাই করতে পারেন। পাঠশালা সফটের অভিজ্ঞ, কর্মঠ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার রা এই সফটওয়্যারটি তৈরি করেছে যা কওমি মাদ্রাসায় ব্যবহারের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী।